ভাষান্তর: বেবী কারফরমা/ ( अनुवाद: बेबी कारफरमा)

“শুনছ, আজকে ছেলে বউকে বলছিল শহরে যে নতুন বাড়িটা তৈরি হচ্ছে সেটাতে ওরা খুব শীঘ্রই চলে যাবে।”
“কি আর করা যাবে?” একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বৃদ্ধ বলল।
“কি আর করা যাবে মানে? আমরা এখানে আমাদের নাতি ছাড়া কি করে থাকবো? ঐ তো আমাদের বার্ধক্যের লাঠি।” বলতে বলতে বৃদ্ধার চোখ ভিজে গেলো।
“ভাগ্যবান! আজকালকার রীতি ছেলেরা বড়ো হলে আর বাবা-মায়ের সাথে থাকতে চায়না, তাই নিজের মনকে শক্ত করো।” বলে বৃদ্ধ হাঁফাতে শুরু করল।
“আচ্ছা ………আমার মনকে শক্ততে করতে বলছ, আর নিজে শক্ত হতে পারছ? দাঁড়াও তোমার জন্য জল নিয়ে আসছি।”
জল নেবার জন্য বৃদ্ধা যেই রান্না ঘরের দিকে পা বাড়িয়েছে , রান্না ঘর থেকে বউমার গলার স্বর শুনে কিছুটা থমকে গেল।
“ঘরের নকশায় এই ঘরের সাথেও একটা বাথরুম বানিয়ে দাও।”
“ বাইরে বারন্দায় তো বাথরুম আছে, তাহলে ঘরের মধ্যে কি দরকার!”
“ দরকার আছে, বাবা-মার বয়স হয়েছে, বেশি দূরে যেতে ওদের কষ্ট হবে!”
বউমার কথা শুনে চোখে জল এল, বৃদ্ধা আবার ফিরে গেল।
“ কি জানি বাবা আমাদের সাথে শহরে আসবে কিনা, এই বয়সে নিজের ঘর ছেড়ে শহরে যাওয়া ওনার পক্ষে মুস্কিল হবে!”
“ কেন যাবে না, চার দেওয়াল দিয়ে কি ঘর হয়, যেখানে আপনজন থাকবে না?” বউমা বলল।
“হ্যাঁ……তুমি ঠিক বলেছ!”
“আর যদি না যাবার জিদ ধরেন তাহলে ওনার জিদ ভাঙ্গাবার লাঠি তো আমাদের কাছে আছেই।” ঘুমন্ত ছেলের মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে বেশ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বউমা বলল।
-0-
অর্চনা রায় (জব্বলপুর, মধ্যপ্রদেশ)
লেখক পরিচিতি – বয়স ৪৫বছর। শিক্ষাগত যোগ্যতা- বি এস সি, বায়োলজি। গৃহিণী এবং লেখিকা। বহু সম্মানে সম্মানিত।‘ সাহিত্য সঙ্গম সংস্থার’ নারী মঞ্চের সহসম্পাদিকা।